যেমন মহান আল্লাহ বলেন,
ورتل القرآن ترتيلا
“আর কুরআনকে তারতীলসহকারে তিলাওয়াত কর।” তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরআন তিলাওয়াত ছিল(مفسرة حرفاً حرفا) বিস্তৃত-অর্থাৎ এক শব্দ, এক শব্দ করে।[50] অপর বর্ণনায়,
(وكان صلى الله عليه وسلم يقرأ بالسورة فيرتلها حتى تكون أطول من أطول منها)
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সূরা পড়তেন তখন তারতীল সহকারে পড়তেন, এমনকি তার তিলাওয়াত বড় হতে বড় হত”।[51] এ ধরনের তারতীল ও ছেড়ে ছেড়ে পড়া, সালাতে চিন্তা ফিকির করা ও খুশুর জন্য অধিক সহায়ক। তাড়া-হুড়া ও তাড়া-তাড়ি করা, খুশুর সম্পূর্ণ বিপরীত।
সালাতে খুশু আনয়নে আরও যে জিনিষটি সহায়ক হয়, তা হল, কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজকে সুন্দর করা। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উপদেশ দেন- তিনি বলেন,
«زينوا القرآن بأصواتكم فإن الصوت الحسن يزيد القرآن حسنا »
“তোমরা তোমাদের কোরআন তিলাওয়াতের আওয়াজকে সুন্দর কর, কারণ সুন্দর কুরআন তিলাওয়াত কুরআনের সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করে”।[52]
তবে আওয়াজকে সুন্দর করার অর্থ ফাসেক ও বিদ‘আতিদের সুরে কুরআন তিলাওয়াত করা নয়। কুরআনের তিলাওয়াতের আওয়াজকে সুন্দর করার অর্থ হল, ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করা। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إن من أحسن الناس صوتا بالقرآن الذي إذا سمعتموه يقرأ حسبتموه يخشى الله»
“আওয়াজের দিক দিয়ে সর্বাধিক সুন্দর তিলাওয়াত-কারী ব্যক্তি সে-ই, যখন তোমরা তার তিলাওয়াত শোনবে, তখন তুমি বুঝবে যে লোকটি আল্লাহকে ভয় করে”।[5