সালাতে তিলাওয়াত কৃত আয়াত ও দো‘আসমূহের অর্থের মধ্যে চিন্তা করা এবং তাতে প্রভাবিত হওয়া

আল্লাহ তাআলা কুরআনকে অবতীর্ণ করেছেন চিন্তা-গবেষণার করার জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿كِتَٰبٌ أَنزَلۡنَٰهُ إِلَيۡكَ مُبَٰرَكٞ لِّيَدَّبَّرُوٓاْ ءَايَٰتِهِۦ وَلِيَتَذَكَّرَ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ ٢٩﴾ [ص : ٢٩]   
“আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি, এক বরকতময় কিতাব, যাতে তারা এর আয়াতসমূহ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে এবং যাতে বুদ্ধিমানগণ উপদেশ গ্রহণ করে”।[32]
আর চিন্তা করা তখন সম্ভব হবে, যখন কুরআন থেকে যা তিলাওয়াত করছে তার অর্থ জানা থাকবে। তখন সে কুরআনে অর্থের মধ্যে চিন্তা করবে, তার চোখ থেকে অশ্রু নির্গত হবে এবং সে কুরআন দ্বারা প্রভাবিত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿وَٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُواْ بِ‍َٔايَٰتِ رَبِّهِمۡ لَمۡ يَخِرُّواْ عَلَيۡهَا صُمّٗا وَعُمۡيَانٗا ٧٣﴾ [الفرقان: ٧٣]   
“আর যারা তাদের রবের আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দিলে অন্ধ ও বধিরদের মত পড়ে থাকে না”।[33] এতে কুরআনের ব্যাখ্যা জানার গুরুত্ব স্পষ্ট হয়। আল্লামা ইবনে জারির রহ. বলেন, “যে কুরআন পড়ে অথচ কুরআনের ব্যাখ্যা জানে না, তার বিষয়ে আমি অবাক হই, সে কিভাবে কুরআন তিলাওয়াতে মজা পায়।”[34] সুতরাং, একজন তিলাওয়াতকারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সে তিলাওয়াতের সাথে সাথে কুরআনের তাফসীর জানার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেবে। যদি বিস্তারিত সম্ভব না হয়, কম পক্ষে সংক্ষিপ্ত তাফসীরের কিতাবগুলো অধ্যয়ন করবে। যেমন, আল্লামা শাওকানী রহ. এর তাফসীর থেকে গৃহীত আল-আশকারের যুবদাতুত তাফসীর, আল্লামা সা‘দীর ‘তাইসিরুল করীমির রহমান ফী তাফসীরে কালামিল মান্নান’। তাও যদি সম্ভব না হয়, কুরআনে কঠিন শব্দ বিষয়ে আল্লামা আব্দুল আজিজ আস-সাইরওয়ান কিতাব যেমন, ‘আল মু‘জামুল জামে‘ লি গরীবি মুফরাদাতিল কুরআন’। কারণ, তিনি এ কিতাবে, কুরআনের অপরিচিত শব্দ বিষয়ে রচিত চারটি কিতাবকে একত্র করেছেন।
আর কুরআনের আয়াতসমূহে চিন্তা করার বিষয়ে যে জিনিষটি বেশি উপকারী তা হল, কুরআনের একটি আয়াতকে বার বার তিলাওয়াত করা। এটি ফিকির করতে এবং দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অধিক সহায়তা করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতেন। হাদিসে বর্ণিত যে, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরো রাত এক আয়াতকে বার বার তিলাওয়াত করতে থাকেন।[35] আয়াতটি ছিল,
﴿إِن تُعَذِّبۡهُمۡ فَإِنَّهُمۡ عِبَادُكَۖ وَإِن تَغۡفِرۡ لَهُمۡ فَإِنَّكَ أَنتَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ١١٨﴾ [المائ‍دة: ١١٨]   
“যদি তুমি তাদের শাস্তি দাও তবে তারা তোমার বান্দা। আর যদি তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও, তুমি নিশ্চয় মহাপরাক্রমশীল ও প্রজ্ঞাময়”[36]
অনুরূপভাবে কুরআনের আয়াতে চিন্তা করার উপর যে জিনিষটি সহায়ক হয়, তা হল, আয়াত পড়ার সাথে সাথে তা বাস্তবায়ন করা। যেমন, হাদিসে বর্ণিত, হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
صليت مع رسول الله ذات ليلة.. يقرأ مسترسلا، إذا مر بآية فيها تسبيح سبح و إذا مر بسؤال سأل و إذا مر بتعوذ تعوذ
“এক রাতে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাত আদায় করি, তিনি সালাতে খুব থেমে থেমে পড়ছিল, যখন কোন তাসবীহ বিশিষ্ট আয়াতের তিলাওয়াত করতেন, তখন তাসবীহ পড়তেন, কোন চাওয়ার আয়াত তিলাওয়াত করতেন তখন আল্লাহর নিকট চাইতেন এবং আশ্রয়ের আয়াত তিলাওয়াত করলে, আশ্রয় চাইতেন”[37] অপর এক বর্ণনায়, তিনি বলেন, صليت مع رسول الله ليلة ، فكان إذا مر بآية رحمة سأل ، و إذا مر بآية عذاب تعوذ ، و إذا مر بآية فيها تنزيه لله سبح.  
“এক রাত আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাত আদায় করি, যখন কোনো রহমতের আয়াত পড়তেন, আল্লাহর কাছে রহমত চাইতেন, আর যখন আযাবের আয়াত পড়তেন তখন আযাব থেকে মুক্তি চাইতেন। আর যখন এমন কোনো আয়াত পড়তেন, যাতে আল্লাহর পবিত্রতা রয়েছে তখন তিনি তাসবীহ পড়তেন”[38] তবে বর্ণনাটি এসেছে কিয়ামুল লাইল বা রাতের নফল সালাতে দণ্ডায়মান হওয়ার সময়ে  
وقام أحد الصحابة ــ وهو قتادة بن النعمان رضي الله عنه ــ الليل لايقرأ إلا (قل هو الله أحد) يرددها لا يزيد عليها
একজন সাহাবী- ক্বাতাদাহ ইবন নু‘মান রাদিয়াল্লাহু আনহু- সারা রাত সালাতে শুধু সূরা এখলাস পাঠ করেন। এ সূরা ছাড়া আর কোনো সূরা তিনি পড়েন নি।[39]
আর সা‘ঈদ ইবন উবাইদ আত-তাঈ রহ. বলেন, আমি সাঈদ ইবন জুবাইরকে রমাদানে ইমামতি করতে দেখেছি, তিনি শুধু নিম্নোক্ত আয়াতটি বারবার তেলাওয়াত করলেন,  
﴿ٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بِٱلۡكِتَٰبِ وَبِمَآ أَرۡسَلۡنَا بِهِۦ رُسُلَنَاۖ فَسَوۡفَ يَعۡلَمُونَ ٧٠ إِذِ ٱلۡأَغۡلَٰلُ فِيٓ أَعۡنَٰقِهِمۡ وَٱلسَّلَٰسِلُ يُسۡحَبُونَ ٧١ فِي ٱلۡحَمِيمِ ثُمَّ فِي ٱلنَّارِ يُسۡجَرُونَ ٧٢﴾ [غافر: ٧٠،  ٧٢]   -
“যারা কিতাব এবং আমার রাসূলগণকে যা দিয়ে আমি প্রেরণ করেছি, তা অস্বীকার করে, অতএব তারা শীঘ্রই জানতে পারবে। যখন তাদের গলদেশ বেড়ী ও শিকল থাকবে, তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে, ফুটন্ত পানিতে, অত:পর তাদেরকে আগুনে পোড়ানো হবে।”[40]
কাসেম রহ. বলেন, আমি সা‘ঈদ ইবন জুবাইর রহ. কে এক রাত সালাত আদায় করতে দেখেছি, তিনি নিম্নোক্ত আয়াতটি প‍ঁচিশ বার তেলাওয়াত করেন,
﴿وَٱتَّقُواْ يَوۡمٗا تُرۡجَعُونَ فِيهِ إِلَى ٱللَّهِۖ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفۡسٖ مَّا كَسَبَتۡ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ ٢٨١﴾ [البقرة: ٢٨١]   -
“আর তোমরা সেদিনের ভয় কর, যেদিন তোমাদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তিকে সে যা উপার্জন করেছে, তা পুরোপুরি দেয়া হবে। আর তাদের জুলুম করা হবে না।”[41]
কাইস নামক এক ব্যক্তি যার উপাধি আবু আব্দুল্লাহ, তিনি বলেন, একরাত আমি হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট রাত যাপন করি, তিনি রাতে সালাত আদায় করার জন্য দণ্ডায়মান হন এবং ভোর পর্যন্ত এ আয়াত- ﴿وَإِن تَعُدُّواْ نِعۡمَةَ ٱللَّهِ لَا تُحۡصُوهَا ١٨﴾ [النحل: ١٨] “যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামতসমূহ গণনা করতে থাক, তবে গণনা করে শেষ করতে পারবে না”[42] বার বার পড়তে থাকেন। তারপর যখন সকাল হল, আমরা বললাম, হে আবু সা‘ঈদ! আপনি সারা রাত এ আয়াত কেন তিলাওয়াত করলেন? তিনি বললেন, এ আয়াতে আমি উপদেশ পাই। আমি যেদিকে চোখ তুলি ও চোখ ফিরাই সে দিকে কোনো না কোনো নেয়ামত দেখতে পাই। আর আল্লাহর যে নেয়ামত জানা যায় না, তার পরিমাণ অসংখ্য।[43]
হারূন ইবন রুবাব আল উসাইদি রহ. রাতে যখন তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের জন্য দাঁড়াতেন, তখন কখনও কখনও তিনি সকাল পর্যন্ত এ আয়াত-
﴿وَلَوۡ تَرَىٰٓ إِذۡ وُقِفُواْ عَلَى ٱلنَّارِ فَقَالُواْ يَٰلَيۡتَنَا نُرَدُّ وَلَا نُكَذِّبَ بِ‍َٔايَٰتِ رَبِّنَا وَنَكُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢٧﴾ [الانعام: ٢٧]   
“আর যদি তুমি দেখতে, যখন তাদেরকে আগুনের উপর আটকানো হবে, তখন তারা বলবে, হায়! যদি আমাদেরকে ফেরত পাঠানো হত। আর আমরা আমাদের রবের আয়াতসমূহ অস্বীকার না করতাম এবং আমরা মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতাম!”।[44] বার বার তিলাওয়াত করতেন এবং সকাল পর্যন্ত কান্না-কাটি করতেন। 
এ ছাড়াও কুরআন হেফয করা, বিভিন্ন রুকনে পড়ার দোআসমূহ হেফয করা ও পড়ার সময় চিন্তা-ফিকির করা বিষয়ে সহায়তা করে। 
আর এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, চিন্তা করা, ফিকির করা, বার বার তিলাওয়াত করা ও বাস্তবায়ন করা ইত্যাদি খুশুকে বৃদ্ধি করে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿وَيَخِرُّونَ لِلۡأَذۡقَانِ يَبۡكُونَ وَيَزِيدُهُمۡ خُشُوعٗا۩ ١٠٩﴾ [الاسراء: ١٠٩]   
“আর তারা কাঁদতে কাঁদতে লুটিয়ে পড়ে এবং এটা তা তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে[45]
নিম্নে একটি প্রভাবময় ঘটনা উল্লেখ করা হচ্ছে, যাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চিন্তা-ফিকির করা ও সালাতে খুশু অবলম্বন করার বর্ণনা আরও স্পষ্ট হয়- আতা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
دخلت أنا وعبيد بن عمير على عائشة رضي الله عنها فقال ابن عمير : حدّثينا بأعجب شيء رأيتيه من رسول الله صلى الله عليه وسلم ، فبكت وقالت : قام ليلة من الليالي فقال: يا عائشة ذريني أتعبّد لربي ، قالت : قلت : والله إني لأحبّ قربك ، وأحب ما يسرّك ، قالت : فقام فتطهر ثم قام يصلي ، فلم يزل يبكي حتى بلّ حجره ، ثم بكى فلم يزل يبكي حتى بلّ الأرض ، وجاء بلال يؤذنه بالصلاة ، فلما رآه يبكي قال: يا رسول الله، تبكي وقد غفر الله لك ما تقدّم من ذنبك وما تأخّر ؟ قال  «أفلا أكون عبدا شكورا ؟ لقد نزلت عليّ الليلة آيات ويل لمن قرأها ولم يتفكّر ما فيها» : (إن في خلق السموات والأرض... الآية
আমি ও উবাইদ ইবন উমাইর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট প্রবেশ করিইবনু উমাইর রহ. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বললআপনি আমাদেরকে একটি আশ্চর্য বিষয় সম্পর্কে সংবাদ দিন যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আপনি দেখেছেন। এ কথা বললে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কেঁদে দেন এবং বলেনএক রাত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে দাঁড়ান এবং বলেনহে আয়েশা তুমি আমাকে ছাড়আমি আমার রবের ইবাদত করি। আয়েশা বলেনআমি বললামআল্লাহর কসম আমি আপনার নৈকট্যকে পছন্দ করি এবং আপনাকে যে জিনিষ খুশি করে আমি তাই চাই। তিনি বলেনতারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওজু করলেনতারপর সালাতে দাঁড়ালেনআর কাঁদতে লাগলেন এমনকি চোখের পানিতে তার কোল ভিজে গেল। তারপর আবারও কাঁদলেনকাঁদতে কাঁদতে চোখের পানিতে মাটিও ভিজে গেল। এমতাবস্থায় বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু এসে সালাতের খবর দিল। অতঃপর যখন দেখতে পেল তিনি কাঁদছেনতখন বললহে আল্লাহর রাসূল আপনি কাঁদছেন অথচ আল্লাহ তাআলা আপনার অতীত ও ভবিষ্যতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেন। রাসূল বললেন, “আমি কি শুকর গুজার বান্দা হব নাআজ রাত আমার উপর এমন কতক আয়াত নাযিল হয়েছেযে আয়াতগুলো তিলাওয়াত করার পর যদি কোনো ব্যক্তি তাতে চিন্তা-ফিকির না করেতার জন্য রয়েছে ধ্বংস।”
﴿إِنَّ فِي خَلۡقِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَٱخۡتِلَٰفِ ٱلَّيۡلِ وَٱلنَّهَارِ لَأٓيَٰتٖ لِّأُوْلِي ٱلۡأَلۡبَٰبِ ١٩٠﴾ .... [ال عمران: ١٩٠]
“নিশ্চয় আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টি এবং রাত দিনের পরিবর্তনের মধ্যে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নির্দশন”....[46]
আয়াত তিলাওয়াতের সাথে সাথে সাড়া দেওয়ার একটি উদাহরণ হচ্ছে, সূরা ফাতেহার পর আমীন বলা। এতে রয়েছে অনেক সাওয়াব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন 
«إذا أمَّنَ الإمام فأمِّنُوا فإنه مَن وافق تأمِينُهُ تأمين الملائكة غُفر له ما تقدم من ذنبه»  
“যখন ইমাম আমীন বলে তখন তোমরাও আমীন বলবে, যার আমীন বলা ফেরেশতাদের আমীন বলার সাথে মিলে যাবে, তার অতীত জীবনের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে”।[47]
অনুরূপভাবে ইমামের সাথে উত্তর দেয়া। যেমন, ইমাম যখন سمع الله لمن حمده বলবে, তখন মুক্তাদিরা বলবে,ربنا ولك الحمد এতে রয়েছে অনেক সাওয়াব। যেমন, রিফা‘আ ইবন রাফে‘ আয-যুরাকী বলেন,
كنا يوما نصلي وراء النبي صلى الله عليه وسلم فلما رفع رأسه من الركعة قال: سمع الله لمن حمده ، قال رجل وراءه : ربنا ولك الحمد حمدا كثيرا طيبا مباركا فيه، فلما انصرف قال «من المتكلم » قال : أنا ، قال : « رأيت بضعة وثلاثين ملكا يبتدرونها أيهم يكتبها أولُ.»
“একদিন আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সালাত আদায় করছিলাম, যখন তিনি রুকু হতে মাথা উঠান তখন বলেন, سمع الله لمن حمده ، ‘আল্লাহ শোনেন তার কথা যে তার প্রশংসা করে’ এ কথা শোনে পেছন থেকে একলোক বলল, ربنا ولك الحمد حمدا كثيرا طيبا مباركا فيه ‘হে রব, তোমার জন্যই অধিক প্রশংসা যা পবিত্র ও বরকতময়’। অতঃপর খন রাসূল সালাত শেষ করলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ কথাটির কথক কে? লোকটি বলল, আমি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ত্রিশের অধিক ফেরেশতাকে আমি দেখছি, তারা কে প্রথমে সাওয়াব লিখবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে”[48]