সালাতে স্থিরতা অবলম্বন

হাদিসে বর্ণিত,
(كان النبي صلى الله عليه وسلم يطمئن حتى يرجع كل عظم إلى موضعه)  
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্থিরতা অবলম্বন করতেন, এমনকি তার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্ব-স্থানে ফিরে যেত[26]  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে ভুলকারী সাহাবীকে এ বিষয়ে অর্থাৎ সালাতে স্থির থাকতে আদেশ দেন। তিনি তাকে বলেন,
«لا تتم صلاة أحدكم حتى يفعل ذلك»
“তোমাদের কারো সালাত বিশুদ্ধ হবে না, যতক্ষণ না সে এ কাজগুলো না করবে”[27]
আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু’ থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أسوأ الناس سرقة الذي يسرق من صلاته ، قال يا رسول الله : كيف يسرق صلاته » قال :  «لا يتم ركوعها ولا سجودها»
সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর, যে সালাতে চুরি করে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সালাতে কীভাবে চুরি করে? তিনি বললেন, রুকু-সেজদাকে পরিপূর্ণভাবে আদায় করে না”[28]
আবু আব্দুল্লাহ আল-আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু’ থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مثل الذي لا يتمّ ركوعه ، وينقر في سجوده ، مثل الجائع يأكل التمرة والتمرتين ، لا يغنيان عنه شيئا»
“যে ব্যক্তি পরিপূর্ণরূপে রুকু করে না এবং সেজদায় ঠোকর দেয়, তার দৃষ্টান্ত ক্ষুধার্ত ব্যক্তির মত, যে শুধু একটি বা দুটি খেজুর খায় যা তার কোনো কাজে আসে না”[29]
যে কেউ সালাতে ধীর-স্থিরতা অবলম্বন করবে না, তার দ্বারা খুশু সম্ভব নয়। কারণ, সালাতে তাড়া-হুড়া করা, সালাতের খুশুকে নষ্ট করে আর কাকের মত ঠোকর দেয়া সালাতের সাওয়াবকে নষ্ট করে।