সালাতে মধ্যমা আঙ্গুলকে নাড়ানো:

টি একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল, যা পালনে অনেক মুসল্লিই উদাসীন। এমনকি তারা এর বিরাট উপকারিতা ও খুশু অবলম্বনে এর প্রভাব সম্পর্কেও অজ্ঞ। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
 «لهي أشد على الشيطان من الحديد»
 “এটি শয়তানের জন্য লোহা-পিটার চেয়েও অধিক কষ্টদায়ক”[70] অর্থাৎ সালাতে তাশাহ্‌হুদ পড়ার সময় মধ্যমা আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা, শয়তানের জন্য লোহা দিয়ে পেটানোর চেয়েও কষ্টকর। কারণ, এটি আল্লাহর একত্ববাদকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং ইবাদতে ইখলাস অবলম্বনে সহায়ক হয়। আর এ দুটি বিষয় সবচেয়ে বড় বিষয় হওয়াতে শয়তান এ আমলটি খুবই অপছন্দ করে। আমরা আল্লাহর নিকট তার থেকে আশ্রয় চাই[71]
এ আমলটি অধিক উপকারী এবং মহৎ হওয়ার কারণে, সাহাবীগণ একে অপরকে আমলটির বিষয়ে উপদেশ দিতেন, তারা আমলটির উপর অধিক যত্নবান ছিলেন, আমলটি করার বিষয়ে তারা নিজেরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। অথচ বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ আমলটি গুরুত্বহীন মনে করে ছেড়ে দেয়। সাহাবীগণের বিষয়ে বর্ণিত, “তারা একে অপরকে বিষয়টির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেন।[72]” অর্থাৎ দো‘আর সময় আঙ্গুলি দিয়ে ইশারা করার বিষয়ে।
আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করার সুন্নত পদ্ধতি হল, যতক্ষণ পর্যন্ত তাশাহ্‌হুদ পড়বে, ততক্ষণ পর্যন্ত তর্জনী আঙ্গুলটি উঁচা করে রেখে কিবলার দিক ইশারা করে নাড়তে থাকা