হজরত আদম আ: থেকে শুরু করে ঈসা আ: পর্যন্ত যত নবী- রাসূল পৃথিবীতে এসেছেন তাঁরা পরিবার, কওম, গোত্র বা নির্ধারিত কোনো অঞ্চলের জন্য এসেছেন; আর বিশ্ববাসীর জন্য এসেছেন মুহাম্মদ সা:। ঈসা আ:-এর পর মুহাম্মদ সা: এর আগমন পর্যন্ত পৃথিবীর কোথাও ধর্মজ্ঞান বা চর্চা ছিল না। আরব ছিল নৈতিকতাবিগর্হিত-শান্তিবিনষ্টকারী কার্যকলাপের অভয়ারণ্য। তারা কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দিত। উলঙ্গ হয়ে নারী-পুরুষ কাবাঘর তওয়াফ করত। অসভ্যতা ও বর্বরতায় সে যুগকে আইয়ামে জাহিলিয়াত বলা হতো। অধিবাসীরা জীবজন্তুর চেয়েও অধম জীবন যাপন করত। পৃথিবীর কোথাও মানবীয় মহত্ত্ব ও গুণাবলির কোনো পরিবেশ ছিল না। জল-স্থল-অন্তরীে এক শোকার্ত করুণ অবস্থা বিরাজ করছিল।
জনপদের অধিবাসীরা যেন ফরিয়াদ করছিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, এই জালেম-অধ্যুষিত জনপদ থেকে আমাদের সরিয়ে নাও অথবা তোমার প থেকে আমাদের জন্য একজন উত্তম সাহায্যকারী ও বন্ধু পাঠাও’ (সূরা নিসা : ৭৫)।
এমনই যুগসন্ধিণে অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু মক্কা নগরীতে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার ঊষালগ্নে ধরাধামে নেমে আসেন আলোর মশাল, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ রাসূল মুহাম্মাদ সা:।
হজরত মুহাম্মদ সা: সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘সঠিক পথের সন্ধান দেয়ার জন্য আমি স্বয়ং তোমাদেরই মধ্য থেকে একজনকে রাসূল করে পাঠিয়েছি, তাঁর কাজ হচ্ছে তোমাদের কাছে আমার আয়াত পাঠ করে শোনাবেন, তোমাদের জীবন পরিশুদ্ধ করবেন, কিতাবের অন্তর্নিহিত জ্ঞান তোমাদেরকে শিা দেবেন, সর্বোপরি তোমরা যেসব বিষয় জানতে না তা তোমাদেরকে জানাবেন’ (সূরা বাকারা : ১৫১)। আরো বলেছেন, ‘তিনিই সে মহান আল্লাহ, যিনি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট হেদায়াত ও সঠিক জীবনবিধানসহ তাঁর রাসূলকে পাঠিয়েছেন, যেন তিনি এই বিধানকে দুনিয়ার সব ক’টি বিধানের ওপর বিজয়ী করে দিতে পারেন, মোশরেকরা তা যতই দুঃসহ মনে করুক না কেন’ (সূরা আত তওবা : ৩৩)।
বারো বছর বয়সে মুহাম্মদ সা: চাচার বাণিজ্যিক সফরসঙ্গী হন। তাঁর মাথায় ব্যবসায়ের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল। তিনি ‘সায়েব’ নামক অভিজ্ঞ এক ব্যবসায়ীর কাজে যোগ দেন। ব্যবসায়ের মাধ্যমে তাঁর সততা ও বিশ্বস্ততা আরবময় ছড়িয়ে পড়ে। আরববাসী তাঁকে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর পরিবর্তে আল-আমিন বলে ডাকতে শুরু করে।
পনেরো বছর বয়সে মুহাম্মদ সা: কুরাইশ ও কায়েস আইনাল গোত্রের মধ্যে সংঘটিত ফুজ্জারের যুদ্ধে চাচার সাথে অংশগ্রহণ করেন। সতেরো বছর বয়সে তিনি সামাজিক অনাচার, অবিচার, লুটপাট, জুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করার অঙ্গীকার নিয়ে গঠন করেন ‘হিলফুল ফুজুল’।
চব্বিশ বছর বয়সে মুহাম্মদ সা: আরবের ধনাঢ্য মহিলা খাদিজার ব্যবসায় জড়িত হন। সেই বছরই তিনি প্রচুর মুনাফা এনে দেন। পঁচিশ বছর বয়সে খাদিজার সাথে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকতপূর্ণ বিয়ের পর মুহাম্মদ সা: অধিক পরিমাণে আল্লাহর শোকরিয়া, প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতায় পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন। এ সময়ে তিনি ব্যবসায়ের চেয়ে আল্লাহর ধ্যান ও সামাজিক কাজে বেশি সময় দিতেন। মুহাম্মদ সা: ৩৫ বছর বয়সে বন্যায় তিগ্রস্ত কাবাঘর মেরামতের পর হাজরে আসওয়াদ পুনঃস্থাপন নিয়ে মক্কার প্রসিদ্ধ চার গোত্রের রক্তয়ী সংঘর্ষ থামিয়ে দেন।
মুহাম্মদ সা: চিন্তা করতেন, ‘তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে এসবই সৃষ্টি করেছেন’ (সূরা বাকারা : ২৯)। তিনি ভাবতেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং দিন-রাত্রির আবর্তনে বিবেকবানদের জন্য নিদর্শন রয়েছে’ (সূরা আল ইমরান : ১৯০)। এমন ভাবনায় তিনি হেরার গুহায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ধ্যান শুরু করেন। খাদিজা রা: হেরাগুহায় তাঁর জন্য খাদ্য ও পানীয় পৌঁছে দিতেন।
মুহাম্মদ সা:-এর বয়স যখন ৪০ বছর ছয় মাস ১৫ দিন, ২৭ রমজান (কারো মতে ১৭ রমজান) রাতে জিবরাইল হেরাগুহায় আল্লাহর প থেকে সর্বপ্রথম ওহি নিয়ে আসেন। বলা হয়, ‘ইকরা’!। তিনি বললেন, ‘মা-আনা-বিক্কারিই’। এভাবেই সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নাজিল হয়। তিনি ভয়ে ভীত হয়ে বাড়ি ফিরে খাদিজা রা:-কে বলেন, আমাকে কম্বল জড়িয়ে দাও। তিনি খাদিজা রা:-কে বিষয়টি খুলে বলেন। খাদিজা রা: তাঁর কথা শুনে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন। খাদিজা রা: তাঁর চাচাতো ভাই খ্রিষ্টধর্মের পণ্ডিত ওয়ারাকা বিন নওফেলের কাছে ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি নিশ্চিত করেন যে, তিনিই সর্বশেষ নবী।
প্রথম ওহির পর দ্বিতীয় ওহি সূরা মুদাচ্ছিরের তৃতীয় সূরা আদ-দোহা পর চতুর্থ বর্ষে নাজিল হলো,“হে নবী! আপনার আত্মীয়স্বজন ও নিকট-প্রতিবেশীদের সতর্ক করুন, আর যেসব মুমিন আপনাকে অনুসরণ করছে তাদের প্রতি বিনম্র হোন, আর যারা আপনার অবাধ্য তাদের বলে দিন তোমরা যা করছো তার জন্য আমি দায়ী নই।”(সূরা আশ শুরা : ২১৪-২১৬)
মুহাম্মদ সা: উপর্যুক্ত নির্দেশ পেয়ে ‘সাফা পাহাড়ে’ কোরাইশদের সব গোত্রের নাম ধরে ডেকে একত্র করে বললেন, ‘তোমরা এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করবে না, আর মুহাম্মদ সা: আল্লাহর রাসূল।’
পঞ্চম বর্ষে কাফেরদের অত্যাচারে রাসূল সা:-এর কন্যা রোকাইয়া ও উসমান রা:-সহ ১৫ জন মুসলমান আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। ষষ্ঠ বর্ষে হামজা রা: ইসলাম গ্রহণের পর ওমর রা: ও ইসলাম গ্রহণ করেন। এ দুই বীরের ইসলাম গ্রহণে কাফেররা বেসামাল হয়ে ওঠে এবং যেকোনো মূল্যে মুহাম্মদ সা:-কে হত্যার পরিকল্পনা করে।
সপ্তম বর্ষে কাফেরেরা মুহাম্মদ সা:-এর বিরুদ্ধে পাঁচটি শর্তে গোপন চুক্তি হরিণের চামড়ায় লিখে কাবার দেয়ালে টাঙিয়ে দেয়। কুরাইশদের ১০টি গোত্রের মধ্যে পাঁচটি আরবের অন্যান্য গোত্রের সাথে এই চুক্তি করে। অতঃপর মুহাম্মদ সা:কে তার গোত্র পরিবার ও সঙ্গী-সাথীসহ শিয়াবে আবু তালিবে বন্দী করে। সপ্তাহ মাস বছর পেরিয়ে গেল। তাঁদের মজুদ খাদ্য ও পানি ফুরিয়ে গেলে ুধার তাড়নায় তাঁরা গাছের পাতা ও ছাল-বাকল খেয়ে জীবন ধারণ করছিলেন। এক সময় তা-ও শেষ হয়ে গেলে তাঁরা উটের চামড়ার নির্মিত তাঁবুর চামড়া চিবিয়ে ুধা নিবারণের চেষ্টা করছিলেন। ইতোমধ্যে কিছু লোক শাহাদাতবরণ করেন আর কিছু লোক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এভাবে তিন বছর অতিবাহিত হয়।
দশম বর্ষে জুবায়র ইবনে আবু উমাইয়া ও হিসামসহ পাঁচজন সৎ সাহসী যুবকের গণসংযোগ, পরামর্শ, অকান্ত পরিশ্রম ও প্রতিবাদ করেন। জুবায়র কাবাঘর তওয়াফ শেষে উপস্থিত লোকদের উদ্দেশে বললেন, ‘হে মক্কাবাসী, আমার কথা শোনো, পছন্দ হলে মানো, না হয় যার যার কাজে চলে যাও। আমাদের দেব-দেবীর গৃহ কাবার হেফাজতকারী লোকেরা আজ তিন বছর নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছে। তাদের শিশুকন্যা, নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই পাহাড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ওই দূর পাহাড় থেকে তাদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। যে মুহাম্মদ সা: ইবনে আবদুল্লাহকে আমরা সবাই আল-আমিন বলে ডাকতাম, যে তিগ্রস্ত কাবাগৃহের কালো পাথর যথাস্থানে স্থাপন করে রক্তয়ী যুদ্ধ থেকে মক্কাবাসীকে রা করেছিল, সে কি আবদুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ সা: নয়? মক্কার লোকের জন্য আবু তালিবের দান কি কম? তারা আল্লাহ ও আখেরাত বিশ্বাস করে এটা কি তাদের অপরাধ? যারা আল্লাহর কথা বলে, ভালো কাজ করে, ধনীর সম্পদ গরিবের মধ্যে বিলিয়ে দেয়, দাস মুক্ত করে, নারীর অধিকারের কথা বলে, দুর্বলকে সাহায্য করে, আমাদেরকে স্বর্গীয় ল্যস্থলের উচ্চশিখরে পৌঁছাতে চায়, মানুষের কোনো তি করে না, তারা দুঃখ-কষ্ট ভোগ করুক এটা কি তোমরা চাও ? এমনি অবস্থায় চিৎকার করে বলতে থাকে এসব কথা মিথ্যা। আবু জেহেলের কথার প্রতিবাদ করে লোকেরা চিৎকার করে বলতে লাগল আমরা জুবায়রের কথা শোনতে চাই।
জুবায়র বললেন, কুরাইশদের অনেকেই তাঁর সাথে যোগ দিয়েছে। তোমরা পাহাড়ে গিয়ে দেখো মুহাম্মদ সা:-এর মুখনিঃসৃত বাণী যেন স্বর্গীয় সুধা। এগুলো জনকল্যাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং মুহাম্মদ সা: ইবনে আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে যে গোপন দলিল এটা অন্যায় ও শোষণের দলিল কাবার দেয়ালে থাকবে কেন? চলো এটা ছিঁড়ে ফেলি। পাঁচ যুবকের নেতৃত্বে অসংখ্য জনতা কাবাগৃহের যে উঁচু স্থানে টাঙানো সেই চুক্তিনামা খুলে ফেলল। দেখা গেল চুক্তিনামার শুধু আল্লাহর নাম ছাড়া সব লেখাই উইপোকা খেয়ে ফেলেছে। মুহাম্মদ সা: আগেই বলেছিলেন যে, এ চুক্তি অবৈধ, এখানে আল্লাহর নাম ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। জুবায়রসহ সম্মিলিত জনতা বলতে শুরু করল, মুহাম্মদ সা: আল্লাহর রাসূল। এভাবে দীর্ঘ তিন বছর পর তাঁরা মুক্ত হলেন।
মুক্তির ২৮ দিনের মাথায় রাসূল সা:-এর চাচা আবু তালিব মৃত্যুবরণ করেন। চাচার মৃত্যুর দুই দিন পর রাসূল সা:-এর প্রিয় স্ত্রী খাদিজা রা: অসুস্থ হয়ে পড়েন আর তৃতীয় দিন তিনিও মৃত্যুবরণ করেন। এরই মধ্যে প্রথম বাইয়াতে আকাবার ঘটনায় মদিনার খাজরাজ গোত্রের পাঁচজন আর আওস গোত্রের একজন ইসলাম গ্রহণ করেন।
১১তম বর্ষে খাজরাজ গোত্রের চারজন আর আওস গোত্রে আরো দু’জন ইসলাম গ্রহণ করেন। আর ওই বছরই রাসূল সা: তায়েফ গমন করেন। তায়েফের ঘটনা সর্বজনবিধিত তাই এখানে একটি ছোট্ট হাদিস দিয়েই শেষ করছি, ‘আয়েশা রা: রাসূল সা:-কে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনার জীবনে সবচেয়ে কষ্টদায়ক ঘটনা কোনটি? রাসূল সা: বলেছিলেন, তায়েফের আবদ ইয়ালিল ও তার লোকদের নির্যাতন আমার জীবনে কখনোই ভুলব না।
১২তম বর্ষে রাসূল সা:-এর জীবনে মিরাজের ঘটনা ঘটে। একই বছর জিলহজ মাসে তৃতীয় বাইয়াতের আকাবা সংঘটিত হয় যাতে মদিনার বিভিন্ন গোত্রের ৭০-৭৫ জন লোক ইসলাম গ্রহণ করেন।
তৃতীয় বাইয়াতের সংবাদ কুরাইশদের কাছে পৌঁছলে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। কিছু লোক মদিনায় হিজরত করেন। কেউ সপরিবারে, কেউ মা-বাবা, ভাই-বোন ছেড়ে, কেউ স্বামী ফেলে, কেউ স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে, কেউ শূন্য হাতে, কেউ পথের সামান্য খরচ জোগাড় করে, কেউ উটে, ঘোড়ায় বা গাধায় চড়ে আর কেউ পায়ে হেঁটে মক্কা ত্যাগ করেন। কাফেররা যাকে যেখানে পেয়েছে ফিরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে, মারধর করেছে, কারো কারো সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে।
কাফেররা জরুরি কাউন্সিল ডেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, মুহাম্মদ সা:-কে এখনই হত্যা করতে হবে, মদিনায় চলে গেলে আর ঠেকানো যাবে না। আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে বারো গোত্রের বারোজন যুবকসহ আবু জেহেল, উতবা ও শায়বা সন্ধ্যার পরপর তাঁর ঘর ঘিরে ফেলে। আবু জেহেল তখন অবজ্ঞাভরে আখিরাত সংক্রান্ত উক্তিগুলো আবৃত্তি করছিল। মুহাম্মদ সা: ঘরের দরজা খুলে আবু জেহেলের মুখোমুখি হলেন আর বললেন, ‘হ্যাঁ, এ কথাগুলো আমিই বলেছি। এ সময় তিনি এক মুঠো বালু আবু জেহেলের মুখে নিপে করলেন। আবু জেহেল চোখ কসলাতে লাগল। মুহাম্মদ সা: সবার মাঝ দিয়েই হেঁটে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় তিনি পাঠ করলেন, ‘জ্ঞানবান কুরআনের কসম, নিশ্চয়ই তুমি রাসূলগণের একজন, ….’ (সূরা ইয়াসিন : ৩৬/২-৯)।
মুহাম্মদ সা: মক্কার জীবনে নবুওয়াতের আগে ছিলেন একজন সৎ মানুষ, সফল সমাজসেবক, সফল ব্যবসায়ী, সফল যোদ্ধা, বিশ্বস্ত কর্মচারী, আদর্শ স্বামী, সর্বোত্তম বিচারক; আর নবুওয়াতের পর যোগ হলো নির্ভীক দায়িত্ব পালনকারী, ধৈর্যশীল ও আল্লাহর একান্ত অনুগত বান্দা। প্রত্যেক মুসলমানই তাঁর মক্কার জীবন থেকে শিা গ্রহণ করা উচিত।