তিনটি সহায়ক স্বভাবের প্রতিকার হলঃ
অবশ্যই আমাদের এ কারণসমূহ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। যখন আমরা কারণ চিহ্নিত করতে পারব, প্রতিকার পেয়ে যাব।
১- ঈমান বিল্লাহঃ
অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলার ওপর ঈমান আনতে হবে এবং একমাত্র তার ওপরেই ভরসা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ إِنَّهُۥ لَيۡسَ لَهُۥ سُلۡطَٰنٌ عَلَى ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٩٩ ﴾ [النحل: ٩٩]
‘‘শয়তানের কোন আধিপত্য নেই তাদের উপর, যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’’ (সূরা আন-নাহল : ৯৯)
২- সঠিক উৎস হতে শরয়ী ইলম অম্বেষন করা :
আর সঠিক উৎস হল আল-কুরআন ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ।
৩- দ্বীনের ব্যাপারে ইখলাছ (ঐকান্তিকতা)
﴿ إِلَّا عِبَادَكَ مِنۡهُمُ ٱلۡمُخۡلَصِينَ ٤٠ ﴾ [الحجر: ٤٠]
‘‘তবে তাদের মধ্যে আপনার একনিষ্ঠ বান্দাদের নয়’’ [সূরা আল-হিজর: ৪০; সূরা আস-সাফফাত: ৪০; ৭৪; ১২৮, ১৬০]
দ্বীনের ব্যাপারে ইখলাছ অবলম্বন করলে শয়তান তাকে বিভ্রান্ত করতে পারে না। এ আয়াত তার প্রমাণ।
উমর ইবন খাত্তাব রা. বলেনঃ ‘‘হিসেবের সম্মুখীন হওয়ার পূর্বেই তোমরা নিজেদের হিসাব নাও; পরিমাপের সম্মুখীন হওয়ার পূর্বেই নিজেদের পরিমাপ কর। কারণ, আজকের নিজের হিসাব নিয়ে নেয়া আগামী কালের হিসাবের তুলনায় অনেক সহজ।’’
হাসান রা. বলেন, মুসলিম মাত্রই নিজের হিসাব নিজে যাচাই করে নেয়। নিজেকে সে প্রশ্ন করবে, কী করতে চাও? কী খেতে চাও? কী পান করতে চাও? . . .
আর পাপী ব্যক্তি পথ চলে কিন্তু নিজের হিসাব নিজে যাচাই করে না।
৪- আল্লাহ তা‘আলার যিকর করা এবং শয়তানের থেকে পানা চাওয়া।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
﴿ وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ ٱلشَّيۡطَٰنِ نَزۡغٞ فَٱسۡتَعِذۡ بِٱللَّهِۚ إِنَّهُۥ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ٢٠٠ ﴾ [الاعراف: ٢٠٠]
‘‘আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। তিনিই শ্রবণকারী মহাজ্ঞানী।’’ সূরা আল-আরাফ : ২০০)
অনুরূপ মু‘আওওয়াযাতাইন তথা সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস পাঠ করা। এ সম্পর্কে ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। এগুলো শয়তানকে প্রবেশে বাধা প্রদান কের। আয়াতুল কুরসীরও এমনই ফযীলত। আয়াতুল কুরসী শয়তান থেকে হেফাযত করে।