ইসলাম ও মহাকালের আহ্বান

পৃথিবীর ইতিহাস সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্বের ইতিহাস। পৃথিবীর ইতিহাস শোষক ও শোষিতের ইতিহাস। পৃথিবীর ইতিহাস মজলুম ও জুলুমবাজের ইতিহাস। যুগে যুগে এই দ্বন্দ্বে সত্যবাদীরা, শোষিতেরা ও মজলুমেরা বিজয়ী হয়েছে তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এই ইতিহাস সংগ্রাম, আন্দোলন এমনকি রক্ত-ঝরার ইতিহাস। ইতিহাসের এই মহাযজ্ঞে শহীদের আত্মদানই স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। ইতিহাসের স্তরে স্তরে এসেছে নমরুদ, ফেরাউন, শোষক, সামন্তবাদ, সম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ এসব। তাদের পতনের ইতিহাসও নির্মম। আবার ইতিহাসের আমোঘ নিয়মে তারা বারবার ফিরে আসে খোলস বদলিয়ে। তাই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয় সমকালীন সমুচিত নিয়মে।
যুগে যুগে পৃথিবীতে যত মতাদর্শের বিপ্লব হয়েছে। তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইসলামের মৌলিক চেতনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে। বিশ্বে ফরাসি বিপ্লব বলেন, আর লেনিন-মাও-এর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব বলেন এসবই বিপ্লবের অনুপ্রেরণা মুহাম্মদ সা: বিপ্লব থেকে পেয়েছে, তা যেকোনো বিজ্ঞ ব্যক্তিই স্বীকার করেন। কার্ল মার্কস বলেছেন, ‘মুহাম্মদ ছিলেন পৃথিবীর প্রথম সফল বিপ্লবী এবং সংস্কারক।’ তিনি মুহাম্মদ সা: নিয়ে একটি গ্রন্থ রচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, কিন্তু তার আগেই তিনি ইন্তেকাল করেন। এ কথা স্বীকার করেছেন বিখ্যাত বিশ্বনেতা নেলসন মেন্ডেলা, আয়াতুল্লা খোমেনির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ইসলামি বিপ্লবের কাছে ঋণী। ইহুদিবাদ পুঁজিবাদ শিবিরের একটি অংশ যার আর ক’টি অংশ বর্ণবাদ।’ মেন্ডেলা আরো বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের ফিলিস্তিন মুক্তি-সংগ্রামের সহযোদ্ধা মনে করি।’ (জুলিও মেয়ত্তি-ইতালির লেখক)।
মুহাম্মদ সা:-কে আল্লাহ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন মানবজাতির জন্য আদর্শ মডেল হিসেবে। বিশ্বের বিখ্যাত দার্শনিক, সাহিত্যিক, কবি, রাজনৈতিক, ব্যক্তি, বিপ্লবী, বিজ্ঞানী, নোবেল বিজয়ী, পণ্ডিতবর্গ সবাই তাঁর মহৎ গুণের ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে অভিধায় প্রশংসা করেছেন। 
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক কাউন্ট লিও টলস্টয় বলেছেন, ‘মুহাম্মদ পৃথিবীর আলো।’ ড. স্যামুল জনসন বলেছেন, ‘মানবতার কল্যাণ তাঁর কথায় ও কাজে বিদ্যমান ছিল।’ পতি হরিপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেছেন, ‘তিনি পরমেশ্বরের সত্যতা বাস্তবায়নকারী।’ মরিশ গডফ্রে বলেছেন, ‘তাকে ঘিরেই পৃথিবীর সভ্যতা।’ ওয়াশিংটন আরভিং বলেছেন, ‘পার্থিব শাসকের চেয়ে আদর্শগত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। এডওয়াট মুনট বলেছেন, ‘মুহাম্মদ ‘মানবতার মহান দরদি।’ ফ্রিজিল ক্যানী বলেছেন, ‘বিশ্বসভ্যতার মহীরুহ।’ আর এ নিকলসন বলেছেন, ‘মুহাম্মদ তিনটি সত্তার স্থপতি, একটি জাতি, একটি সম্রাজ্য ও একটি কালজয়ী আদর্শ।’ ই. বয়স্টোন পিংক বলেছেন, ‘বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষের মধ্য তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠতম।’ আইরিনা মেডমেক্স বলেছেন, ‘বিশ্ব আইনের মডেল।’ স্টুয়ার্ড মিলস বলেছেন, ‘চরম প্রতিকূলের মধ্যে সত্যেরবানী প্রচারক।’ প্রফেসর ম্যাসারম্যান বলেছেন, ‘তিনি সর্ববিদ্যার মানদণ্ডে শ্রেষ্ঠ মহামানব।’ দার্শনিক কে এস রামাকৃষ্ণ রাও বলেছেন, ‘একই মানুষের মধ্যে তাত্ত্বিক, সাংগঠনিক ও নেতৃত্বের গুণাবলির সমাহার দুনিয়াতে আর একটিও নেই।’ হিন্দু পতি দেওয়ান চাঁদ শর্মা বলেছেন, ‘পরোপকারের জীবন্ত প্রতিমূর্তি।’ জন ডাবলিও ড্রপার বলেছেন, ‘মানবজাতির ওপর সর্বাপেক্ষা প্রভাব বিস্তারকারী।’ আর ভিসি বডলে বলেছেন, ‘তাঁর সংস্পশে এলেই মানুষের আমুল পরিবর্তন ঘটে যেত।’
নোবেল বিজয়ী জর্জ বানর্ড শ বলেছেন, ‘এক আশ্চার্য মহাপুরুষ মানবতার ত্রাণকারী।’ টমাস কার্লাইল বলেছেন, ‘মহাকালের মহামানব।’ ঐতিহাসিক লার্মাটিন বলেছেন, ‘শ্রেষ্ঠ সেনানায়ক।’ লে. জেনারেল জেমস গ্যাাভিন বলেছেন, ‘প্রথমে মুহাম্মদ তারপর যিশু, নেনিন, মাও ও কেনেডি।’ গান্ধী বলেছেন, ‘তরবারি নয়, নবীর যাবতীয় সৎ গুণাবলি দিয়ে, বাধা-বিঘœ অতিক্রম করে সত্যকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন।’ নেহেরু বলেছেন, ‘তার সততা সরলতা ন্যায় নিষ্ঠা এবং বৈপ্লবিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিশ্ববাসীকে অনুপ্রাণিত করেছে।’ রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘মানুষের ধর্মবুদ্ধি যখন খণ্ড খণ্ড হয়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়েছিল তাকে তিনি (মুহাম্মদ সা:) অন্তরের দিকে, অখণ্ডের দিকে নিয়ে গেছেন। বিশ্বের পরম দেবতাকে একটি বিশেষ রূপে একটি বিশেষ কোনো স্থানে আবদ্ধ না রেখে তিনি সেই মহাপুণ্যের দ্বারকে সব মানুষের কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।’ ইন্দিরা গান্ধী বলেছেন, ‘তাঁর চেয়ে জ্ঞানী আর কে হতে পারে?’ বিশ্বের বিখ্যাত কবিগণের মধ্যে, জন কিটস বলেছেন, ‘পৃথিবীর যা কিছু মহৎ ও সুন্দর সবই মুহাম্মদ সা:।’ ইউরোপের মহাকবি ও জার্মানির জাতীয় কবি ছিলেন, গ্যাটে (১৮৩২ খ্রিষ্ট) তিনি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠসাহিত্য পুস্তক ফ্রাউস্টের লেখক। 
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মানুষই ইসলামে জন্মগ্রহণ করে এবং মুসলমান হিসেবেই মৃত্যুবরণ করে।’ তিনি ইসলাম সম্পর্কে গভীর আগ্রহ প্রদর্শন করেন এবং শেষ নবী সা:-এর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে উৎসাহ নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তার দেওয়ান এ টিকা টিপ্পনী ও ভাষা-ভাষ্যের মুহাম্মদকে শীর্ষক অধ্যায়ে কুরআনের বৈশিষ্ট্য সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি রাসূলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন কাব্যরীতিতে। আধুনিক ইংরেজ কবি টিএস ইলিয়ট তার কবিতায় উল্লেখ করেছেন, ‘মুহাম্মদ সা: আজীবন অকাতরে কেবল দানাই করেছেন।’ বিশ্বনন্দিত কবি এডগার অ্যালেন পো ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআন থেকে ফেরেশতা ইস্রাফিলকে প্রতীক হিসেবে নিয়ে রচনা করেছেন এক অসাধারণ কাব্য। মহাকবি শেলি (১৭৯২-১৮২)। তার দ্য রিভল্ট অব ইসলাম কাব্যে ইসলামের বিপ্লবী মতাদর্শের প্রতি সশ্রদ্ধ অনুরাগ ব্যক্ত করেছেন।
কানাডার এরিক স্কেরোডার ‘মুহাম্মদস পিপল’-এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য। এর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এপোসল অব গড অধ্যায়টি সুলিখিত ও রাসূলের প্রশংসায় মুখর। নিউ জার্সির জ্যাক ফাইনগানের ‘দ্য অরকিউলজি অব ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন্স’গ্রন্থটি রাসূল প্রশস্তিতে সমৃদ্ধ। বর্তমান বিশ্বের মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবে সর্বশেষ নবীকে দুনিয়ায় আইনপ্রণেতা হিসেবে পয়লা নম্বরে স্থান দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির সরকারি অফিস-হোয়াইট হাউজের অভ্যন্তরীণ প্রাচীরে বিশ্বের আইন প্রণেতাদের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজনের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত আছে। সেখানে প্রথম লাইনে এককভাবে মোটা অক্ষরে যে নামটি শোভা পাচ্ছে তা হলো বিশ্বের সর্বশেষ আদর্শ হজরত মুহাম্মদ সা:-এর মহাপবিত্র নাম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নায়ক হিটলার যিনি বিশ্বের কোনো নেতার সাথে অনেক বিষয়ে একমত ছিলেন না। কিন্তু তিনি মুহাম্মদের ব্যাপারে বিশ্ব বরেণ্যদের সাথে একমত ছিলেন। তার রচিত মেইন ক্যাম্প বইয়ে মুহাম্মদ সা: নিয়ে বিস্তর প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন,’ একই ব্যক্তির মধ্যে যুগপৎ তাত্ত্বিকতা, সাংগঠনিক শক্তি ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা তিনটি গুণের সার্থক সমন্বয়…ধরাপৃষ্ঠে বিচরণশীল রক্তমাংসের মানুষ এই নবী মুহাম্মদ সা:-এর মধ্যে পৃথিবী সবিস্ময়ে এটা এমন প্রত্যক্ষ করেছেন এই দুর্লভতম মহত্ব।’ বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম কবি গোটে কুরআন সম্বন্ধে বলেছেন, ‘এমন এক গ্রন্থ যার মহিময় প্রভাব ও অনুশীলন যুগ যুগ ধরে একইভাবে অব্যাহত থাকবে।’ 
একজন ব্রিটিশ এমপি তার পার্লামেন্ট ভাষণে বলেছেন ‘আমি প্রমাণ করব এবং দুনিয়াকে দেখাব যে আল-কুরান মৃত্যুহীন এবং নিভিয়ে ফেলা যায় না এমন এক সুর্য।’ তিনি আরো বলেন, ‘যত দিন মুসলমানদের হাতে কুরআন থাকবে আমরা তাদের বশ করতে পারব না। হয় তাদের হাত থেকে এটা ছিনিয়ে নিতে হবে অথবা তারা যেন এর প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে ফেলে সেই ব্যবস্থা করতে হবে (সূত্র : মাসিক পৃথিবী সংখ্যা অক্টোবর-২০১১, পৃ-১৬)। জর্জ বানার্ড শ বলেন, ‘আগামী এক শতাব্দী মধ্যে কোনো একটি ধর্মের দ্বারা যদি ইংল্যান্ড তথা ইউরোপ শাসিত হওয়ার ঘটনা ঘটে সে ইসলাম।’ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন তার আধিপত্য নীতি অব্যাহত থাকলে শিগগিরই সোভিয়েত ইউনিয়নের মতোই ভেঙে পড়বে আমেরিকা।’ তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে মধ্যপ্রাচ্য ও কৃষ্ণ সাগরের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক সম্মেলনে এ কথা বলেছেন তিনি। তিনি আরো বলেছেন, ‘ভুলের প্রায়শ্চিত করতে গিয়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে, ওয়াশিংটন একই ভুলের পুনরাবৃত্তি থাকলে যুক্তরাষ্ট্রকে একই ভাগ্যবরণ করতে হবে। গর্বাচেভ আরো বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে সোভিয়েত বলশেভিকরা ইসলামি মূল্যবোধের পাত্তা দেননি অথচ শীতল যুদ্ধের সময় বিশ্বশক্তিরা ইসলামকে তাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে’ (নয়া দিগন্ত-১৬-১২- ২০১২)।
মহাকালের রাজপুত্র তাঁর বিদায় হজের কালজয়ী ভাষণের পর আল্লাহ আয়াত নাজিল করলেন, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন মনোনীত করলাম’ (আল-মায়েদা : ৩)।
তাই ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক, ব্যক্তিসহ এমন কোনো বিষয় নেই যা ইসলামে নেই, যা ইসলাম সমাধান দিতে পারে না। বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ওআইসি ভাষণে বলেছেন, ‘আমরা যদি মহানবী সা: প্রচারিত মানবপ্রেম ও মর্যাদা শাশ্বত মূল্যবোধ আমাদের মধ্যে সঞ্চায়িত করতে পারি তা থেকে বর্তমান কালের সমস্যা সমাধানে মুসলিম জনসাধারণ সুস্পষ্ট অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এসব মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত হয়ে শান্তি ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে আমরা একটি নতুন আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য গড়ে তুলতে পারি (সূত্র : অগ্রপথিক, ইফাবা-২০০০)। 
‘বিল্পব ধ্বংস নয়, সৃষ্টির প্রসব বেদনা’ বলেছেন, চেয়ারম্যান মাও জে ডং। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দার্শনিক কবি আল্লামা ইকবাল বলেছেন, 
ওঠো দুনিয়ার সব গরিবকে জাগিয়ে দাও
ধনীর প্রাসাদের দ্বার, প্রাচীর ভেঙ্গে দাও।
যে ক্ষেত থেকে কৃষকের জীবিকা মিলে না
সেই ক্ষেত্রের সকল ফসল খোসাসহ জ্বালিয়ে দাও।
আল কুরআন বলে, ‘তোমাদের মধ্যে একটি দল থাকা উচিত যারা মানুষকে সৎকাজের আদেশ দেবে এবং অসৎকাজ থেকে বিরত রাখবে। তারাই সফলকাম। (আল ইমরান : ১০৪) একদিন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই মানুষকে চূড়ান্ত মঞ্জিলে নিয়ে যাবে।
‘আল্লাহ তাঁর রাসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন দিয়ে এ জন্য পাঠিয়েছেন যাতে তিনি এটাকে অন্য সব মতবাদের ওপর বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন, যদিও তা মুশরিকদের পছন্দ না (আত তাওবা : ৩৩)।’
আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের মহাকালের আহ্বান (Call of the Eon) ‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আমার কোনো প্রভু নেই। তাঁর আদেশ পালন করাই একমাত্র মানব ধর্ম। আল্লাহ আমার প্রভু, রাসূলের আমি উম্মত। আল কুরআন আমার পথপ্রদর্শক। এই পৃথিবীর রাজরাজেশ্বর একমাত্র আল্লাহ। যারা এই পৃথিবীতে নিজেদের রাজত্বের দাবি করে তারা শয়তান। সেই শয়তানকে সংহার করে আমরা পৃথিবীতে আল্লাহর রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করব।