আপনার জন্য কাজটি করা ওয়াজিব বা ফরজ ছিল না। কিন্তু মানত করার মাধ্যমে আপনি তা আপনার জন্য আবশ্যক করে নিয়েছেন। যেমন, আপনি বললেন: আমার এবারের সন্তানটি যদি সহজভাবে প্রসব হয় তা হলে আমি আমাদের গ্রামের জামে মসজিদে দুই হাজার টাকা দান করব। বস্তুত সন্তান প্রসব হলে দুই হাজার টাকা দান করা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু মানত করার মাধ্যমে আপনি আপনার জন্য তা বাধ্যতামূলক করে নিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে তা পুরা করা আপনার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেল।
মহান আল্লাহর বাণী:
তার পর তারা যেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়, তাদের মানতসমূহ পূরণ করে এবং প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে। ( সূরা হজ্জ : ২৯)
মানত করার জন্য ইসলামি শরিয়ত কাউকে বাধ্য করেনি। এবং মানত ভাগ্যের কোনো পরিবর্তনও করতে পারে না। তাই মানত করা একটি মুবাহ কাজ বলা যেতে পারে। কিন্তু মানত করার পর তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। মানত বিষয়ক বর্ণনা কোরআনের বহু জায়গাতে এসেছে। এবং মানত পূর্ণ সৎকর্মশীলদের একটি গুণ বলেও কোরআনে (সূরা দাহার: ৭) বর্ণিত হয়েছে।
শরিয়ত সম্মত মানতের নমুনা:
• আল্লাহ আমাকে এ রোগ থেকে আরোগ্য দান করলে , আমি দুইটি রোজা রাখবো। মসজিদে দুই হাজার টাকা দান করবো।
• এবার যদি আমার চাকুরি হয় প্রথম বেতনের টাকা গরিব মেসকিনদের দান করবো অথবা গরিব এলাকায় একটি টিউবঅয়েল স্থাপন করে এলাকার পানি সমস্যা দূর করবো।
• আমার ছেলে হলে তাকে মাদরাসায় পড়তে দিবো।
মানত পূর্ণ না করলে কাফফারা
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كَفَّارَةُ النَّذْرِ كَفَّارَةُ الْيَمِينِ صحيح مسلم
ওকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: মানতের কাফফারা কসমের কাফফারার অনুরূপ। ( সহিহ মুসলিম)
কসম বা শপথের কাফফারা হচ্ছে, দশজন দরিদ্রকে মধ্যম শ্রেণীর খাদ্য দান কিংবা বস্ত্র দান অথবা একজন ক্রতদাস মুক্ত করে দেয়া। আর যে ব্যক্তি এর কোনোটিরই সামর্থ্য রাখে না সে একাধারে তিন দিন রোজা রাখবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদের পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফ্ফারা হল দশজন মিসকিনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অত:পর সে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফফারা যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসমের হেফাজত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।(সূরা মায়েদা: ৮৯)
মানত সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে । মানতও একটি ইবাদত অন্য সকল ইবাদতের মত এটাও হওয়া চাই একমাত্র আল্লাহর জন্য। কিন্তু আজ কাল এহেন একটি ইবাদতকে মানুষ আল্লাহর নামে না করে পীর, মাজার, কবর, খানকা, দরগা ইত্যাদির নামে করে থাকে। আর শরিয়তের পরিভাষায় একেই শিরক বলা হয়। হায়! আফসোস...
মহান আল্লাহর বাণী:
তার পর তারা যেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়, তাদের মানতসমূহ পূরণ করে এবং প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে। ( সূরা হজ্জ : ২৯)
মানত করার জন্য ইসলামি শরিয়ত কাউকে বাধ্য করেনি। এবং মানত ভাগ্যের কোনো পরিবর্তনও করতে পারে না। তাই মানত করা একটি মুবাহ কাজ বলা যেতে পারে। কিন্তু মানত করার পর তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। মানত বিষয়ক বর্ণনা কোরআনের বহু জায়গাতে এসেছে। এবং মানত পূর্ণ সৎকর্মশীলদের একটি গুণ বলেও কোরআনে (সূরা দাহার: ৭) বর্ণিত হয়েছে।
শরিয়ত সম্মত মানতের নমুনা:
• আল্লাহ আমাকে এ রোগ থেকে আরোগ্য দান করলে , আমি দুইটি রোজা রাখবো। মসজিদে দুই হাজার টাকা দান করবো।
• এবার যদি আমার চাকুরি হয় প্রথম বেতনের টাকা গরিব মেসকিনদের দান করবো অথবা গরিব এলাকায় একটি টিউবঅয়েল স্থাপন করে এলাকার পানি সমস্যা দূর করবো।
• আমার ছেলে হলে তাকে মাদরাসায় পড়তে দিবো।
মানত পূর্ণ না করলে কাফফারা
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كَفَّارَةُ النَّذْرِ كَفَّارَةُ الْيَمِينِ صحيح مسلم
ওকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: মানতের কাফফারা কসমের কাফফারার অনুরূপ। ( সহিহ মুসলিম)
কসম বা শপথের কাফফারা হচ্ছে, দশজন দরিদ্রকে মধ্যম শ্রেণীর খাদ্য দান কিংবা বস্ত্র দান অথবা একজন ক্রতদাস মুক্ত করে দেয়া। আর যে ব্যক্তি এর কোনোটিরই সামর্থ্য রাখে না সে একাধারে তিন দিন রোজা রাখবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদের পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফ্ফারা হল দশজন মিসকিনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অত:পর সে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফফারা যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসমের হেফাজত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।(সূরা মায়েদা: ৮৯)
মানত সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে । মানতও একটি ইবাদত অন্য সকল ইবাদতের মত এটাও হওয়া চাই একমাত্র আল্লাহর জন্য। কিন্তু আজ কাল এহেন একটি ইবাদতকে মানুষ আল্লাহর নামে না করে পীর, মাজার, কবর, খানকা, দরগা ইত্যাদির নামে করে থাকে। আর শরিয়তের পরিভাষায় একেই শিরক বলা হয়। হায়! আফসোস...