নফল দানের উপযুক্ত সময় ও নিয়ম

জাকাত ও অন্যান্য বাধ্যতামূলক দান ছাড়াও ধনীদের সম্পদে গরিবদের অধিকার রয়েছে। আবশ্যিক দান- জাকাত ফিৎরা ইত্যাদি আদায়ের একটি নির্ধারিত সময় রয়েছে। তবে নফল দানের কোনো নির্ধারিত সময় নেই । দাতা অভাবী লোকদেরকে যে কোনো সময় দান করলে সাওয়াব পেয়ে যাবেন। দিবা-রাত্র যে কোনো সময়ে দান করা যায়। তা হতে পারে গোপনে অথবা প্রকাশ্যে। কোরআন ও হাদিসে উভয়ভাবে দানের অনুমতি রয়েছে। সুতরাং আমাদের উচিত সামর্থ্য হলেই দান সদকা করা, এতে বিলম্ব না করা এবং সুস্থ আবস্থায় দান করা।

আল্লাহ তাআলা বলেন:
আর আমি যা তোমাদেরকে দিয়েছি, তোমাদের কারো মৃত্যু আসার আগেই তা থেকে ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবে, হে আমার রব, আমাকে আরো কিছুকাল সময় দিলে না কেন? তাহলে আমি দান করতাম এবং নেককারদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। ( সূরা মুনাফিকুন : ১০)  
আয়াত থেকে বুঝা গেল, মৃত্যু আসার আগে দান করা উত্তম। মৃত্যু মুহূর্তে মালাকুল মওত আসার আগের দানে আল্লাহ বেশি খুশি হন। 

এ মর্মে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, 
لَوْ كَانَ لِي مِثْلُ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا يَسُرُّنِي أَنْ لَا يَمُرَّ عَلَيَّ ثَلَاثٌ وَعِنْدِي مِنْهُ شَيْءٌ إِلَّا شَيْءٌ أُرْصِدُهُ لِدَيْنٍ. 
رَوَاهُ صَالِحٌ وَعُقَيْلٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ  . صحيح البخاري 
যদি আমার নিকট উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ মওজুদ থাকে, আমার খুশির কারণ হবে ঋণ পরিশোধ পরিমাণ রেখে বাকীগুলো তিন দিনের মধ্যে দান করে দেওয়া। (বর্ণনায় সহিহ বোখারি)