কোরবানি সামর্থ্যবান প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তি প্রতি বছর ঈদুল আজহার নামজ আদায়ের পর আদায় করবে। বহু পূর্ব হতে চলে আসা বিশেষ এ ইবাদতটি উম্মতে মুহাম্মদির এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এর ইতিহাস, গুরুত্ব ও ফজিলতের বিবরণ পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে এসেছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন
প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরন করতে পারে, যে সমস্ত জন্তু তিনি রিযক হিসেবে দিয়েছেন তার উপর। তোমাদের ইলাহ তো এক ইলাহ অতএব তারই কাছে আত্মপসমর্পণ কর, আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা হজ্জ : ৩৪)
১.নিশ্চয় আমি তোমাকে আল-কাউসার দান করেছি। ২. অতএব তোমার রবের উদ্দেশ্যেই সালাত পড় এবং কোরবানি কর। ৩. নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ। ( সূরা কাউসার: ১-৩)
হাদিসে রাসূল ও কোরবানি
عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ فِي يَوْمِنَا هَذَا أَنْ نُصَلِّيَ ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا وَمَنْ نَحَرَ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ قَدَّمَهُ لِأَهْلِهِ لَيْسَ مِنْ النُّسْكِ فِي شَيْءٍ. رواه البخاري
বারা ইবনে আজিব রাদিয়াল্লাহু আনাহু হতে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আজকের -ঈদের- দিনে আমাদের প্রথমে যা করতে হবে তা হল নামজ। অত:পর ফিরে গিয়ে আমরা কোরবানি করব। যে এ নিয়ম মানলো সে সুন্নতের উপর আমাল করল। আর যে নামজ আদায়ের আগে কোরবানি করল তা হবে সাধারণ গোশত যা নিজ পরিবারের জন্য ব্যবস্থা করল। এটা কোরবানি হবে না। ( সহিহ বোখারি)
আল্লাহ তাআলা বলেন
প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরন করতে পারে, যে সমস্ত জন্তু তিনি রিযক হিসেবে দিয়েছেন তার উপর। তোমাদের ইলাহ তো এক ইলাহ অতএব তারই কাছে আত্মপসমর্পণ কর, আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা হজ্জ : ৩৪)
১.নিশ্চয় আমি তোমাকে আল-কাউসার দান করেছি। ২. অতএব তোমার রবের উদ্দেশ্যেই সালাত পড় এবং কোরবানি কর। ৩. নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ। ( সূরা কাউসার: ১-৩)
হাদিসে রাসূল ও কোরবানি
عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ فِي يَوْمِنَا هَذَا أَنْ نُصَلِّيَ ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا وَمَنْ نَحَرَ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ قَدَّمَهُ لِأَهْلِهِ لَيْسَ مِنْ النُّسْكِ فِي شَيْءٍ. رواه البخاري
বারা ইবনে আজিব রাদিয়াল্লাহু আনাহু হতে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আজকের -ঈদের- দিনে আমাদের প্রথমে যা করতে হবে তা হল নামজ। অত:পর ফিরে গিয়ে আমরা কোরবানি করব। যে এ নিয়ম মানলো সে সুন্নতের উপর আমাল করল। আর যে নামজ আদায়ের আগে কোরবানি করল তা হবে সাধারণ গোশত যা নিজ পরিবারের জন্য ব্যবস্থা করল। এটা কোরবানি হবে না। ( সহিহ বোখারি)
عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ يُضَحِّي.
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . سنن الترمذي
ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ বছর মদিনায় অবস্থান করেছেন এবং প্রতি বছর কোরবানি করেছেন। ( সুনান তিরমিজি, সনদ হাসান)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ كَانَ لَهُ سَعَةٌ وَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا . سنن ابن ماجه. و قال الشيخ الألباني هذا حديث حسن. صحيح وضعيف سنن ابن ماجة
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির (কোরবানি করার) সামর্থ্য আছে অথচ কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছে না আসে। ( সুনান ইবনে মাজাহ, সনদ হাসান)