আমল-দোয়া : আসুন সবাই সত্যবাদী হই

আখলাক বা উত্তম চরিত্রই মুসলমানের আসল পরিচয়। ইবাদত যেমন দ্বীনের একটি অংশ এবং শরিয়তের অন্যতম হুকুম, তেমনি আখলাক ও সুচরিত্রও দ্বীনের একটি অংশ। ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ হলো আশরাফুল মাখলুকাত। তাই মানুষের জীবনে অনেক ভালো ভালো গুণ রয়েছে। সত্যবাদী ও আমানতদার হওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে অনেক বড় গুণ। এ কারণে কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও। (সূরা তাওবা, আয়াত : ১১৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের নির্দেশ দেন যে, তোমরা আমানতগুলোকে সঠিকভাবে প্রাপককে পৌঁছে দাও। (সূরা নিসা, আয়াত : ৫৮)
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেসব সুন্দর চরিত্র ও সত্গুণের ওপর জোর দিয়েছেন সেসবের মধ্যে বিশেষভাবে রয়েছে সত্যবাদিতা ও আমানতদারী। কিছু হাদিস নিচে উল্লেখ করা হলো—
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা সত্যবাদিতা অবলম্বন কর। সর্বদা সত্য কথা বল। কেননা সত্যবাদিতা পুণ্যের দিকে নিয়ে যায়। আর পুণ্য মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। মানুষ যখন সর্বদা সত্য কথা বলে এবং সত্যকেই অনুসন্ধান করে তখন সে সিদ্দিকের স্তরে পৌঁছে যায়। আল্লাহর কাছে সে সিদ্দিক তথা মহা সত্যবাদী হিসেবে গণ্য হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০৯৪)
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী নবী-রাসুল, সিদ্দিক ও শহীদের সঙ্গে থাকবে। (জামে তিরমিযি, হাদিস : ২১৩৯)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, তোমার মধ্যে যদি চারটি গুণ বিদ্যমান থাকে তাহলে জগত্ও যদি ছুটে যায় তারপরও চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমানতের হেফাজত, সত্য কথা বলা, উত্তম আখলাক, জীবিকা অর্জন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৬৫২)
সত্যবাদী ও আমানতদারের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তাই মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি ভাই-বোন যদি এই উত্তম গুণগুলো সঠিকভাবে অর্জন করতে পারে তাহলে মুসলমানরা তাদের হারানো ঐতিহ্য আবার উদ্ধার করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। আমিন