রানী বিলকিসের দোয়া

আল্লাহ তাআলা হজরত সুলাইমানকে (আঃ) এক অতুলনীয় হুকুমত দান করেন। তিনি পশু-পাখীর ভাষাও বুঝতেন। একদা হজরত সুলাইমান (আঃ) পাখীদের মধ্যে হুদহুদপাখীকে অনুপস্থিত পেলেন, কিন্তু খুবই অল্প সময়ের মধ্যে হুদহুদপাখী ফিরে এল এবং হজরত সুলাইমানকে (আঃ) সম্বোধন করে বলল: ‘আমি সাবা নামক দেশ হতে আপনার জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর এনেছি। সেখানে বিলকিস নামক এক মহিলা রাজত্ব করছে। সে দেশের জনগণ সূর্যকে প্রভু হিসেবে সেজদা করে।’
এ খবর শুনে হজরত সুলাইমান (আঃ) সাবা দেশের রাণী বিলকিসের নিকট পত্র লিখেন। হুদহুদপাখী পত্রখানা রাণী বিলকিসের নিকট পৌঁছে দেয়। রাণী বিলকিস পত্র পাওয়ার পর হজরত সুলাইমান (আঃ) – এর নিকট উপঢৌকন প্রেরণ করে। কিন্তু হজরত সুলাইমান (আঃ) তার উপঢৌকন প্রত্যাখ্যান করেন। কিছুদিন পর রাণী বিলকিস নিজেই হজরত সুলাইমান (আঃ) – এর নিকট এসে উপস্থিত হন। আল্লাহর নবির সঙ্গে আলোচনার পর বুঝতে পারে যে, এতদিন যাবৎ ভুল আকিদা অনুযায়ী সূূূর্যের এবাদত করত। অতঃপর মহান আল্লাহর প্রতি ইমান আনেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করেন:
رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسي‏ وَ أَسْلَمْتُ مَعَ سُلَيْمانَ لِلَّهِ رَبِّ الْعالَمينَ
হে আমার রব্‌! আমি আমার নিজের উপর জুলুম করেছি। আমি সুলাইমানের সহিত বিশ্বের প্র্রতিপালক আল্লাহর প্রতি ইমান আনলাম। (সুরা: আন্‌ নামল, ৪৪।)
শিক্ষা
১) আল্লাহর প্রতি ইমান এনে মুমিন হওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে গর্ব ও অহঙ্কার দূর করতে হবে।
২) নবিগণের হুকুমতের উদ্দেশ্য দেশের বিস্তৃতি ঘটানো নয়। বরং তাঁদের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের হেদায়াত ও মুক্তি।
৩) ইমানের ভিত্তিই হচ্ছে আত্মসমর্পণ।